বাংলাদেশে সেরা স্টক কিনুন ❥ Stocks to Buy for Beginners
আপনি কি Dhaka Stock Exchange এ বিনিয়োগ করতে আগ্রহী? তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের পুঁজিবাজার Bangladesh Stock Exchange সম্পর্কে নতুন করে কিছু বলার নেই। প্রতিদিন Dhaka Share Market পতনের মুখোমুখি হচ্ছে, কিন্তু এর সঠিক কারণ কেউ জানাতে পারছেন না। কর্তৃপক্ষ পুরোপুরি ব্যর্থতার চিত্র প্রদর্শন করছে এবং Bangladesh Stock Exchange এর কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
বিনিয়োগকারীরা ক্ষোভ প্রকাশের জন্য মানববন্ধন করছেন, কিন্তু তাতে কি লাভ! আপনি যে অর্থ হারিয়েছেন, তা পুনরুদ্ধার করা কঠিন। এটাই বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের বাস্তবতা, যেখানে Dhaka Stock Bangladesh এর স্ট্রাকচার দুর্বল। মনে রাখবেন, ❝ সরকার আপনাকে সান্তনা ছাড়া কিছুই দেবে না ❞।
যাই হোক, বাংলাদেশ পুঁজিবাজারে Pujibazar বিনিয়োগ করে লাভ করতে চাইলে বিনিয়োগ শিক্ষা অত্যাবশ্যক। ❝ শুধুমাত্র সঠিক জ্ঞানের অভাবে আমরা হারিয়েছি আমাদের সর্বস্ব ❞। মনে রাখবেন, বাংলাদেশ সরকার কখনো ব্যর্থতার দায়ভার নেবে না। আপনার ব্যর্থতার দায়ভার আপনাকেই বহন করতে হবে। যদি আপনি দেশের সরকারের দিকে তাকিয়ে থাকেন, তাহলে এটি ভুল মনোভাব। তাই আমি বলব, সময় থাকতে নিজেকে শুধরে নিন।
কিভাবে প্রতিযোগিতা করার যোগ্যতা অর্জন করবেন?
আপনি যদি Dhaka Stock Exchange Market-এ স্মার্ট প্লেয়ারদের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে চান, তাহলে আপনাকে অবশ্যই প্রস্তুতি নিতে হবে। আপনি সাধারণ বিনিয়োগকারী হিসেবে স্মার্ট বিনিয়োগকারীদের সাথে প্রতিযোগিতা করতে পারছেন না এবং এর জন্য মানববন্ধন করছেন। এটি খুবই ❝লজ্জাজনক❞ এবং ❝হতাশাজনক❞! অন্যদিকে, ❝আপনার কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে স্মার্ট বিনিয়োগকারীরা বিদেশে হলিডে পালন করছে❞। এটি মেনে নেওয়া যায় না। তাই এখনই সময় সতর্ক হোন।
যখন জোয়ার চলে যায়, তখনই আপনি বুঝতে পারবেন কে উলঙ্গভাবে সাতার কেটেছিলো। অর্থাৎ, যখন ভালো সময় থাকে তখন সবাইকে বিজয়ী মনে হয়। কিন্তু সময় চলে গেলে বোঝা যায় তার পিছনে কী ছিলো।
যদিও নাটকীয়তার মাত্রা বেড়ে গেছে,😁 কিন্তু কথাগুলো সত্য। এই পোস্টের মাধ্যমে আমি আপনাকে দেখাবো কিভাবে একটি ভাল প্রতিষ্ঠান শেয়ার নির্বাচন করবেন। আশা করছি, বিনিয়োগকারী.কম-এর সাথে থাকবেন।
সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত কিভাবে নিবেন?
একজন সফল বিনিয়োগকারী প্রতিটি পদক্ষেপ সম্পর্কে সচেতন থাকেন। তার সিদ্ধান্তগুলি ভুল বা সঠিক হতে পারে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি তার সিদ্ধান্তের জন্য পুরোপুরি দায়ী। আপনি কি জানেন, ওয়ারেন বাফেট (Warren Buffett) ট্রেডিং অথবা বিনিয়োগের মাধ্যমে কত $$$ ডলার লস করেছেন?
যদি আপনাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, তবে আপনার ব্যবসা করা উচিত নয়।
এখন যদি ওয়ারেন বাফেট বাজারের উপর, কোন ব্রোকারেজ হাউজের উপর, অথবা ❝কোন এ্যাডভাইজারের নোংরা পরামর্শ❞ দেওয়ার জন্য, এমনকি দেশের সরকারের ওপর দোষারোপ করেন, তাহলে কি এটি মেনে নেওয়া যায়? ❝কোনভাবেই না!❞ এখন আপনি নিজেকে প্রশ্ন করুন: ❝আমি কি আমার বিধিগুলি (Discipline) অনুসরণ করেছি?❞ একটু চিন্তা করুন!
শেয়ার নির্বাচন করার আগে কি দেখে নেওয়া উচিত?
আপনি কোন শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় (Share Buy-Sell) করবেন তা আপনার অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে। যদি আপনি একজন ভাল বিনিয়োগকারী হতে চান, তবে আপনাকে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হলো, আপনি যে কাজটি করছেন সেটির সম্পর্কে জানা না থাকা।
শেয়ার নির্বাচন
শেয়ার নির্বাচন | ✔ |
---|---|
আপনি কেমন ব্যক্তিত্বের মানুষ? | ✔ |
আপনার কাছে কত পরিমাণ অর্থ আছে? | ✔ |
দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের জন্য আপনার কি ধৈর্য আছে? | ✔ |
আপনি কোন ধরনের কৌশল নিয়ে ট্রেড করতে পছন্দ করেন? | ✔ |
আপনি কী পরিমাণ বার্ষিক রিটার্ন প্রত্যাশা করেন? | ✔ |
আপনি ফুলটাইম, খণ্ডকালীন, অথবা খুব কম সময়ে বিনিয়োগ করতে চান? | ✔ |
আপনার আর্থিক পরিস্থিতি অনুসারে ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা কত? | ✔ |
আপনি কি (২ দিন) ট্রেডিং এবং স্বল্পমেয়াদী ট্রেডিংয়ের মানসিক চাপ সইতে পারবেন? | ✔ |
দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের জন্য আপনার কি ধৈর্য আছে? | ✔ |
উদাহরণস্বরূপ, আপনাকে কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে: আপনি কেমন ব্যক্তিত্বের মানুষ? আপনার কাছে কত পরিমাণ অর্থ আছে? দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগের জন্য আপনার কি ধৈর্য আছে? আপনি কোন ধরনের কৌশল নিয়ে ট্রেড করতে পছন্দ করেন? আপনার প্রত্যাশিত বার্ষিক রিটার্ন কত? আপনি ফুলটাইম, খণ্ডকালীন, অথবা খুব কম সময়ে বিনিয়োগ করতে চান? আপনি কি (২ দিন) ট্রেডিং এবং স্বল্পমেয়াদী ট্রেডিংয়ের মানসিক চাপ সইতে সক্ষম? আপনার আর্থিক পরিস্থিতি অনুসারে ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা কত? আপনি কোন ধরনের ট্রেডিং বই পড়বেন এবং কোন শীর্ষ বিনিয়োগকারীদের সবচেয়ে বেশি প্রশংসা করেন এবং কেন?
ব্যক্তিত্বের উপর ভিত্তি করে শেয়ার নির্বাচন করার স্মার্ট কৌশল
ট্রেডিং আপনার ব্যক্তিত্বের উপর নির্ভর করে। ধরুন, আপনি যদি ২৩-৩৫ বছর বয়সের মধ্যে হন, তাহলে আপনার জন্য ইন্টারডে ট্রেডিং (Intraday Trading) করা উপযুক্ত। আবার, যদি আপনার বয়স ৪৫-৬০ বছর হয়, তবে আপনাকে ট্রেডিং থেকে বিরত থাকতে হবে এবং আপনার অর্থ অন্য কোনো উপায়ে বিনিয়োগ করতে হবে।
মনে রাখতে হবে, বিক্রির সময় নয়, বরং কেনার সময়ই লাভের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
যেমন ধরুন, আপনার মোট ১০০% অর্থের মধ্যে ৭০% নিরাপত্তার জন্য অপসারণ করতে হবে (এফডিআর অথবা ব্যাংক) জমা রাখতে। আর বাকি ৩০% অর্থ দিয়ে আপনাকে পুঁজিবাজার Dhaka Stock Exchange-এ বিনিয়োগ করতে হবে। এতে, শেয়ার বাজারে Share Bazar যদি কোনো বড় পতন ঘটে, আপনি তা কাটিয়ে উঠতে পারবেন। এই লিঙ্কটির মাধ্যমে আপনার অর্থ পরিচালনার পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা দেওয়া আছে।
পুঁজি উপর নির্ভর করে কতটা ঝুঁকি নিচ্ছেন ?
অনেক নতুন বিনিয়োগকারী আছেন যারা জুয়াড়ি মনোভাব নিয়ে “দেখি না কি হয়!” ভিত্তিতে আসেন। তারা আসলেই জানতে চান, কি শেয়ার মার্কেট (Share Market) মানে? তবে দিন শেষে বিপুল পরিমাণ অর্থ লোকসান দিয়ে পুঁজিবাজার থেকে বেরিয়ে যান।
কখনোই সব ডিম এক ঝুড়িতে রাখবেন না।
আপনার মোট ক্যাপিটালের উপর শতকরা কত শতাংশ ঝুঁকি নিচ্ছেন, সে বিষয়ে আপনার স্পষ্ট ধারণা থাকা উচিত। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনার কাছে মোট এক লাখ টাকা থাকে এবং আপনি সম্পূর্ণ অর্থ (এক লক্ষ টাকা) একটি শেয়ারে বিনিয়োগ করেন, তবে এতে করে আপনি প্রচুর পরিমাণ লোকসানের সম্মুখীন হতে পারেন।
প্রতিষ্ঠান/পরিচালকের সম্পর্কে (About Company)
আপনি যে কোম্পানির শেয়ার কিনতে যাচ্ছেন, সেই কোম্পানির পরিচালকদের হাতে শতকরা কতটুকু শেয়ার রয়েছে তা গভীরভাবে বিশ্লেষণ করুন। তাদের সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থান সম্পর্কে সব বিষয়েই নজর রাখতে হবে।
ক্ষমতাসীনদের দুর্নীতির প্রতি ঝোঁক থাকে। সীমাহীন ক্ষমতা সীমাহীন দুর্নীতির কারণ।
এছাড়াও, কোম্পানির বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ কতটুকু রক্ষা করা হচ্ছে সে বিষয়ে সচেতন থাকুন। কোনও সংস্থার ব্যবসা কতটা সফল তা মূলত ব্যবসায়ের উদ্যোক্তার দূরদর্শিতা, দক্ষতা এবং আন্তরিকতার উপর নির্ভর করে।
ট্রেডিং ডিসিপ্লিন
আপনার সব সময় একটি ট্রেডিং ডিসিপ্লিন (Trading Discipline in Stock Market) মেনে চলা উচিত। যেমন ধরুন, আপনি কখনোই জেড ক্যাটাগরি অথবা কম দামী শেয়ার কিনবেন না। এছাড়া মনে রাখতে হবে যে, শেয়ার ডাউনট্রেন্ডে চলছে সেখান থেকে আপনি কখনোই প্রফিট অর্জন করতে পারবেন না। কথায় আছে ❝ ট্রেন্ড আপনার বন্ধু ❞। অতএব, ট্রেন্ড অনুসারে আপনার ট্রেড নির্বাচন করুন। টেকনিক্যাল এবং ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিসের Technical and Fundamental Analysis মাধ্যমে একটি সিস্টেম অথবা ট্রেডিং ডিসিপ্লিন Trading Discipline তৈরি করুন।
সাধারণ সফল এবং অসাধারণ সফলদের মধ্যে পার্থক্য হলো, অসাধারণ সফলদের ‘না বলার ক্ষমতা অসাধারণ।
কখন একটি শেয়ার আপ ট্রেন্ডে থাকতে হবে এবং কিভাবে লং (Long) ট্রেড করতে হয়, আবার ডাউনট্রেন্ডে কিভাবে শর্ট (Short Sell) করতে হয়, সহজ কথায় বলতে গেলে কিভাবে একটি শেয়ারের পজিশন সাইজিং Position Sizing করতে হয়, তা আপনার ট্রেডিং ডিসিপ্লিনে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। এই লিঙ্কটি মাধ্যমে আপনার অর্থ পরিচালনা করার পদ্ধতি বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে। আরও পড়ুন: ক্যাসিনোর বনাম পুঁজিবাজার - Casino vs. Capital Market
মৌলিক বিশ্লেষণের ভিত্তিক মাধ্যমে শেয়ার নির্বাচন করার উপায়
ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস (Fundamental Analysis) মূলত একটি কোম্পানির ব্যালেন্স শীট, ক্যাশ ফ্লো, লাভ ও লোকসান স্টেটমেন্ট ইত্যাদির মাধ্যমে একটি কোম্পানি ভালো না খারাপ, সেই বিষয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ ধারণা প্রদান করে। বাংলাদেশের পুঁজিবাজার (Pujibazar) সাধারণ বিনিয়োগকারীরা মৌলভিত্তিক বিশ্লেষণ করলে কতটুকু উপকৃত হয়েছে, সেটি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার অন্ত নেই।
বিভিন্ন ধরনের ভুলের জর্জরিত আমাদের দেশের পুঁজিবাজার (Pujibazar)। যাই হোক, আমি বলব, মৌলভিত্তিক ডেটা এনালাইসিসের পাশাপাশি চার্ট এনালাইসিস (Chart Analysis) এর প্রতি নজর একটু বেশি দিতে হবে। আরও পড়ুন: ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস বনাম টেকনিক্যাল এনালাইসিস
সেক্টর ফিল্টারিং এর মাধ্যমে স্টক নির্বাচন?
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (Bangladesh Stock Exchange) থেকে আপনার পছন্দের একটি সেক্টর (ব্যাংক, সিমেন্ট, প্রযুক্তি, বিদ্যুৎ ও শক্তি, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি) নির্বাচন করুন এবং সেখান থেকে শীর্ষ পাঁচটি শেয়ার ফিল্টার করুন। এরপর শীর্ষ পাঁচটি শেয়ার থেকে সেরা একটি শেয়ার নির্বাচন করুন।
এভাবে, সর্বনিম্ন তিনটি সেক্টর থেকে তিনটি শেয়ার নির্বাচন করা উচিত। এটি আপনার পোর্টফোলিওতে ক্ষতিকে অনেক উপায়ে হ্রাস করবে।
পি/ই অনুপাত (Price to Earnings Ratio)
পিই রেশিও দেখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত, দৈনিক প্রাপ্ত পিই রেশিও ১৫-২০ এর মধ্যে কম হলে সেটি ভালো মনে করা হয়। বিস্তারিত জানতে এই লিঙ্কটি দেখুন।
শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (NAV) ?
শেয়ারের প্রতি সম্পদ মূল্য (NAV) অবশ্যই দেখতে হবে। NAV এবং ক্লোজিং প্রাইজের মধ্যে একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পর্ক থাকা উচিত, যাতে বোঝা যায় শেয়ারটি ভাল না খারাপ।
ইপিএস (Earnings per Share)
মনে রাখবেন, যে কোনো শেয়ারের ইপিএস (EPS) যত বেশি হবে, তা আমাদের জন্য ততই মঙ্গলকর।
ক্লোসে প্রাইস লিমিট (Base/Close Price Lower/Upper Limit)
সর্বমোট আউটস্ট্যান্ডিং শেয়ার (Total Outstanding Share)
সর্বমোট আউটস্ট্যান্ডিং শেয়ারের সংখ্যা কত তা দেখতে হবে। শেয়ারের সংখ্যা কম হলে দাম বৃদ্ধি পায়, আর বেশি হলে দাম হ্রাস পায়।
দীর্ঘমেয়াদি ঋণ ( Long Term Loan)
দীর্ঘমেয়াদি ঋণ এক নজরে দেখে নেওয়া ভালো, যা সেই সেক্টর সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা প্রদান করে।
অথরাইজড / বাজার মূলধন/পেইড আপ ক্যাপিটাল (Market Cap/Paid-Up-Cap)
অথরাইজড ক্যাপিটাল এবং পেইড আপ ক্যাপিটাল রেশিও যত কাছাকাছি থাকবে, রাইট শেয়ার ইস্যু করা ততই কঠিন হবে।
ডাটা রেকর্ড দেখুন
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ নিবন্ধিত কোম্পানির গত ১০ বছরের ডাটা রেকর্ড দেখুন। কোন কোম্পানি কখন কী পরিমাণ ডিভিডেন্ড অথবা লাভ অংশ দেয়, তা খেয়াল করুন। বার্ষিক গড় মূল্য ভালভাবে বিশ্লেষণ করুন এবং এই দামের কাছাকাছি শেয়ার কেনার চেষ্টা করুন।
লভ্যাংশ প্রদান অনুপাত (Dividend Payout Ratio)
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ নিবন্ধিত কোম্পানির গত ১০ বছরের ডাটা রেকর্ড দেখুন। কে কখন কী পরিমাণ ডিভিডেন্ড বা লাভ অংশ দেয়, তা বিশ্লেষণ করুন। বার্ষিক গড় মূল্য খেয়াল করুন এবং এই দামের কাছাকাছি শেয়ার কেনার চেষ্টা করুন।
টার্ন ওভার/রেভিনিউ (Turnover/Revenue)
একটি শেয়ারের টার্নওভার/রেভিনিউ (Turnover/Revenue) খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যে শেয়ার আপনি কিনতে ইচ্ছুক, সেই সেক্টরের (ব্যাংক, ফাইন্যান্সিয়াল, বিদ্যুৎ, শক্তি ইত্যাদি) সবগুলো শেয়ারের টার্নওভারের উপর ভিত্তি করে সেই শেয়ার বাছাই করুন। ভবিষ্যতে সেই শেয়ারটির দাম বেড়ে যেতে পারে।
রিজার্ভ/সারপ্লাস (Reserve/Surplus)
- স্টক মার্কেটে, রিজার্ভ/সারপ্লাস বলতে একটি কোম্পানির সঞ্চিত আয় বা মুনাফা বোঝায় যা শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ হিসেবে বিতরণ না করে ব্যবসার মধ্যে ধরে রাখা হয়।
- এটি একটি কোম্পানির লাভের অংশকে প্রতিনিধিত্ব করে, যেটি লভ্যাংশ হিসেবে বিতরণ করা হয় না, বরং কোম্পানিতে পুনরায় বিনিয়োগ করা হয় বা ভবিষ্যতে ব্যবহারের জন্য রিজার্ভ হিসেবে রাখা হয়।
- রিজার্ভ হল একটি কোম্পানির ব্যালেন্স শীটে শেয়ারহোল্ডারদের ইক্যুইটির একটি অংশ। এটি সাধারণত একটি পৃথক লাইন আইটেম হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয় এবং কোম্পানির দ্বারা অনুসরণ করা অ্যাকাউন্টিং মানগুলির উপর নির্ভর করে বিভিন্ন নামে রিপোর্ট করা হয়, যেমন ধরে রাখা উপার্জন, সঞ্চিত লাভ, বা ধরে রাখা উদ্বৃত্ত।
- রিজার্ভ/সারপ্লাস অ্যাকাউন্ট সময়ের সাথে সাথে বৃদ্ধি পায়, যেহেতু একটি কোম্পানি মুনাফা তৈরি করে এবং শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে বিতরণ করার পরিবর্তে সেই লাভের একটি অংশ ধরে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।
- এই রক্ষিত উপার্জনগুলি বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যেতে পারে, যেমন ভবিষ্যতের সম্প্রসারণ প্রকল্পে অর্থায়ন, ঋণ পরিশোধ, গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগ, অথবা কোম্পানির আর্থিক অবস্থানকে শক্তিশালী করা।
- কোম্পানির আর্থিক স্থিতিশীলতা এবং নমনীয়তা নির্ধারণে রিজার্ভ/উত্তর একটি অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে। এটি তহবিলের একটি কুশন সরবরাহ করে যা চ্যালেঞ্জিং সময়ে ব্যবহার করা যেতে পারে বা বৃদ্ধির সুযোগের জন্য পুনঃবিনিয়োগ করা যেতে পারে।
- বিনিয়োগকারীরা এবং বিশ্লেষকরা প্রায়শই একটি কোম্পানির রিজার্ভ/উদ্বৃত্তের আকার এবং প্রবণতা বিবেচনা করে, যখন কোম্পানির আর্থিক স্বাস্থ্য এবং ভবিষ্যতের লভ্যাংশ বা মূলধনের মূল্যায়নের সম্ভাবনা মূল্যায়ন করে।
রিটার্ন ও ইকুইটি (Return On Equity/Assets)
রিটার্ন অন ইক্যুইটি (ROE) এবং রিটার্ন অন অ্যাসেটস (ROA) হল আর্থিক অনুপাত যা স্টক মার্কেটে একটি কোম্পানির মুনাফা এবং কার্যকারিতা মূল্যায়ন করতে ব্যবহৃত হয়। এখানে প্রতিটি অনুপাতের একটি সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা:
রিটার্ন অন ইক্যুইটি (ROE): | রিটার্ন অন অ্যাসেটস (ROA): |
---|---|
রিটার্ন অন ইক্যুইটি (ROE): শেয়ারহোল্ডারদের ইক্যুইটি থেকে কতটা কার্যকরভাবে লাভ জেনারেট করে তা মূল্যায়ন করে। ROE কোম্পানির লাভজনকতা পরিমাপ করে এবং এটি কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারদের বিনিয়োগের উপর অর্জিত আয় নির্দেশ করে। | রিটার্ন অন অ্যাসেটস (ROA): ROA একটি কোম্পানির লাভজনকতা পরিমাপ করে, যা মূল্যায়ন করে যে এটি উপার্জন করতে তার মোট সম্পদকে কতটা দক্ষতার সাথে ব্যবহার করে। এটি কোম্পানির মোট সম্পদের উপর অর্জিত আয় নির্দেশ করে। |
ROE-এর সূত্রটি হল: ROE = (নিট আয় / শেয়ারহোল্ডারদের ইক্যুইটি) * 100। এখানে, নিট আয় বলতে সমস্ত খরচ এবং কর বাদ দিয়ে কোম্পানির মুনাফা বোঝায়। | ROA-এর সূত্রটি হল: ROA = (নিট আয় / মোট সম্পদ) * 100। নিট আয়, যেমন আগে উল্লিখিত হয়েছে, কোম্পানির মুনাফার প্রতিনিধিত্ব করে। |
শেয়ারহোল্ডারদের ইক্যুইটি কোম্পানির মোট সম্পদ বিয়োগ করে মোট দায়গুলিকে প্রতিনিধিত্ব করে, যা মূলত কোম্পানিতে শেয়ারহোল্ডারদের বিনিয়োগ। ROE কে শতাংশ হিসাবে প্রকাশ করা হয় এবং কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারদের দ্বারা প্রদত্ত তহবিল ব্যবহার করে মুনাফা তৈরির ক্ষমতা মূল্যায়ন করতে ব্যবহৃত হয়। | মোট সম্পদগুলি কোম্পানির মালিকানাধীন সমস্ত সম্পদকে বোঝায়, যার মধ্যে বাস্তব এবং অস্পষ্ট উভয় সম্পদও রয়েছে। ROA একটি শতাংশ হিসাবে প্রকাশ করা হয় এবং এটি সম্পদ বেসের আকারের সাথে সম্পর্কিত মুনাফা উৎপন্ন করার জন্য একটি কোম্পানির ক্ষমতা মূল্যায়ন করতে ব্যবহৃত হয়। |
ROE এবং ROA উভয়ই একটি কোম্পানির আর্থিক কর্মক্ষমতা মূল্যায়ন করার জন্য বিনিয়োগকারী এবং বিশ্লেষকদের দ্বারা ব্যবহৃত গুরুত্বপূর্ণ সূচক। একটি উচ্চতর ROE এবং ROA সাধারণত যথাক্রমে আরও ভাল লাভজনকতা এবং দক্ষতা নির্দেশ করে। যাইহোক, এই অনুপাতগুলিকে শিল্পের গড়গুলির সাথে তুলনা করা এবং একটি কোম্পানির আর্থিক স্বাস্থ্যের একটি বিস্তৃত বোঝার জন্য অন্যান্য কারণগুলি বিবেচনা করা গুরুত্বপূর্ণ।
গত বছর নগদ প্রবাহ অপারেশন (Cash Flow Operation Last Year)
স্টক মার্কেটের পরিপ্রেক্ষিতে "গত বছরের অপারেটিং থেকে নগদ প্রবাহ" পূর্ববর্তী অর্থবছরে একটি কোম্পানির মূল ব্যবসায়িক কার্যক্রমের মাধ্যমে উত্পন্ন নগদ পরিমাণকে বোঝায়। এটি একটি আর্থিক কোম্পানির প্রতিদিনের কার্যক্রম থেকে নগদ উপার্জনের ক্ষমতার অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে।
নগদ প্রবাহ গণনা করা হয় ব্যয় এবং কার্যকরী মূলধনের পরিবর্তনের জন্য নিট আয় সামঞ্জস্য করে। এটি একটি কোম্পানির প্রাথমিক ব্যবসায়িক কার্যক্রম দ্বারা উত্পন্ন নগদকে প্রতিনিধিত্ব করে, যেমন বিক্রয় থেকে রাজস্ব এবং সংশ্লিষ্ট খরচ।
কার্যক্রম থেকে নগদ প্রবাহ বিশ্লেষণ করা বিনিয়োগকারীদের এবং বিশ্লেষকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি একটি কোম্পানির অন্তর্নিহিত নগদ-উৎপাদন ক্ষমতার অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে, যা অর্থায়ন বা বিনিয়োগের কার্যক্রমের মতো অ-কার্যকর বিষয়গুলি থেকে স্বাধীন। এটি দীর্ঘমেয়াদে কোম্পানির আর্থিক স্বাস্থ্য, তারল্য এবং স্থায়িত্ব মূল্যায়ন করতে সাহায্য করে।
আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ টার্মস সমূহ
মোট টার্নওভার (Total Turnover), মোট লাভ (Net Profit), নিট আয় (Net Income), নগদ প্রবাহ (Cash Flow), রিটার্ন অন ইক্যুইটি (Return on Equity), বিটা (Beta), চলতি সম্পদ (Current Assets), বর্তমান দায় (Current Liabilities), মোট ইকুইটি (Total Equity), মোট দায়বদ্ধতা (Total Liabilities), সুদ পরিশোধ (Interest Paid)।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কৌশল
- ক্রমাগত শেখার আগ্রহ এবং বাজারের প্রবণতা, সংবাদ এবং কোম্পানির পারফরম্যান্সের সাথে আপডেট থাকুন।
- কোর্স, কর্মশালা এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বিশ্লেষণের মাধ্যমে ক্রমাগত শিক্ষা নিন।
- বহুমুখীকরণ: ঝুঁকি কমাতে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ ছড়িয়ে দিন। সম্ভাব্য ক্ষতির ভারসাম্য বজায় রাখতে আপনার পোর্টফোলিওর মধ্যে বৈচিত্র্য আনুন।
- প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ: ঐতিহাসিক মূল্য প্রবণতা, ট্রেডিং ভলিউম এবং ভবিষ্যৎ স্টক গতিবিধি পূর্বাভাস করার জন্য প্যাটার্ন এবং টেকনিক্যাল ও ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস ব্যবহার করুন। মুভিং এভারেজ, RSI, MACD, ইত্যাদির মতো টুলগুলি প্রয়োগ করুন।
- ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিস: শক্তিশালী কোম্পানিগুলিকে চিহ্নিত করতে আর্থিক বিবৃতি, কোম্পানির বৃদ্ধির সম্ভাবনা, আয় এবং অর্থনৈতিক সূচকগুলি বিশ্লেষণ করুন।
- ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা: সম্ভাব্য লোকসান কমাতে স্টপ-লস অর্ডার ব্যবহার করুন।
- সক্রিয় পোর্টফোলিও ব্যবস্থাপনা: নিয়মিতভাবে বাজারের পরিবর্তন এবং কোম্পানির পারফরম্যান্সের পরিবর্তনের উপর ভিত্তি করে পোর্টফোলিওটি নিরীক্ষণ ও সামঞ্জস্য করুন।
- প্ররোচনামূলক সিদ্ধান্ত এড়িয়ে চলুন: দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্যে ফোকাস করুন এবং বাজারের ওঠানামার সময় ধৈর্য ধরুন।
- নেটওয়ার্ক বিল্ডিং: আর্থিক পরামর্শদাতা এবং শিল্প বিশেষজ্ঞদের সাথে সংযোগ স্থাপন করুন।
- আবেগ নিয়ন্ত্রণ: সংবেদনশীল সিদ্ধান্ত গ্রহণ এড়িয়ে চলুন এবং বিশ্লেষণ ও গবেষণার ভিত্তিতে একটি সুশৃঙ্খল পদ্ধতি অনুসরণ করুন।
- মার্কেটের গতিশীলতা: পরিবর্তনশীল অর্থনৈতিক অবস্থার সাথে কৌশলগুলি সামঞ্জস্য করতে প্রস্তুত থাকুন।
- মার্কেট রিসার্চ: সম্ভাব্য বিনিয়োগের খবর এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য বাজারের প্রবণতা নিয়ে গভীরভাবে গবেষণা পরিচালনা করুন।
- ক্রয়/বিক্রয়: মুনাফা এবং ঝুঁকি উভয় কারণ বিবেচনা করে বিনিয়োগের জন্য স্পষ্ট কেনাবেচা পয়েন্ট নির্ধারণ করুন।
শেষ কথা
ধারণা করা হচ্ছে, ২০২০ শেষের দিকে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে ৭.৮ শতাংশ । তবুও, বাংলাদেশের শেয়ার বাজার এখনও। একটি নবজাতক পর্যায়ে রয়েছে।
আমরা যদি ভারতকে একটু নজর দেই তবে বুঝতে পারি যে আমরা কোথায় আছি। মনে রাখবেন, শেয়ার বাজারে কোন অভিভাবক নেই । কখনো অন্যের কথায় প্রভাবিত হয়ে শেয়ার মার্কেটে ঝাঁপ দিবেন না।
আমি যতটুক জানি ততটুকু শেয়ার করার চেষ্টা করলাম আশা করছি আপনাদের ভালো লেগেছে। বিনিয়োগকারী.কম শেয়ার মার্কেট সম্পর্কে গণসচেতনতা মুলক পোস্ট করার চেষ্টা করছি। শুধুমাত্র নতুন বিনিয়োগকারীদের জন্য। যারা শেয়ার (Share Market) মার্কেটে জুয়াড়ি মনোভাব নিয়ে বিশ্লেষণ করেন তাদের থেকে যত দূরে থাকবেন ততোই ভালো। একটি কথা সবসময় মনে রাখবেন "অর্থ আপনার সিদ্ধান্ত আপনার"
গুগল প্লে স্টোর থেকে শেয়ার বাজার সম্পর্কে সেরা বিনিয়োগকারী.কম মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করুন বিনিয়োগকারী .কম বাংলাদেশে সর্বপ্রথম পুজিবাজার সম্পর্কিত একটি পূর্ণাঙ্গ ওয়েবসাইট - আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন!বিনিয়োগকারী.কম এখন ইউটিউবে! নিয়মিত ক্যাপিটাল মার্কেট বিষয়ক ভিডিওগুলো পেতে Biniogkari ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন ! এই লিঙ্কে চলে যান
এক নজরে দেখে নিন
মনের অজান্তে তৈরি হওয়া কিছু প্রশ্ন | হ্যাঁ | না |
---|---|---|
আমি টেকনিক্যাল এবং ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস বুঝি না, আমার কি ক্যাপিটাল মার্কেটে ইনভেস্ট করা উচিত? | ❌ | ✔ |
ব্রোকারেজ হাউজে কর্মরত কোন বড় ভাই অথবা অফিসিয়াল ট্রেডার অথবা টেলিভিশন অথবা সোশ্যাল মিডিয়াতে কোথায় কোন স্টকে ইনভেস্ট করা উচিত? | ❌ | ✔ |
আমি নতুন পুঁজি বাজারে এসেছি, আমার কি ডে ট্রেডিং (২ দিন) করা উচিত? | ❌ | ✔ |
শেয়ারের দাম কমে গেলে আমার কি স্টপ লস ব্যবহার করা উচিত? | ✔ | ❌ |
নতুন বিনিয়োগকারী পুঁজি বাজারে কি ওয়িক ট্রেডিং (সপ্তাহ) করা উচিত? | ❌ | ✔ |