কিভাবে স্টক কিনবেন ও বিক্রি করবেন 💜 Buy Stock Market
একটি শেয়ারের (Share) জন্য সর্বোত্তম অবস্থান মূল্যায়ন করার সেরা উপায় কী? বিনিয়োগকারীদের (Investor) জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ অবস্থান থেকে শেয়ার কেনার কিছু পদ্ধতি রয়েছে যা শেয়ার কেনা-বেচার ঝুঁকি কমাতে পারে।
একজন সফল বিনিয়োগকারী (Become a Professional Trader) হওয়ার জন্য পজিশন সাইজিং (Position Sizing) জানা খুবই জরুরি। পজিশন সাইজিং (Position Sizing) একটি ট্রেডিং সিস্টেমের অংশ। পোর্টফোলিওতে ক্রমাগতভাবে ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ এবং সর্বোচ্চ আয় করতে এটি একটি বিশেষ পদ্ধতি, যার ❝ কোন বিকল্প নেই ❞।
পসিশনিং সাইজিং কি? What Is Position Sizing?
দুটি শব্দ ❝ পসিশনিং ❞ এবং ❝ সাইজিং ❞: পসিশনিং হল অবস্থান এবং সাইজিং হল যে অবস্থান আমাদের পক্ষে বা বিপরীতে যাওয়ার ঝুঁকির প্রবণতা নিয়ন্ত্রণ করে। সহজ কথায় বলতে গেলে, প্রত্যেক ট্রেডে ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কতগুলো শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় করবেন, এই বিশেষ পদ্ধতিকে বলা হয় পসিশনিং সাইজিং (Position Sizing) অথবা ঝুঁকি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (Positioning Sizing Risk Management System)।
সাধারণত একজন প্রফেশনাল ট্রেডার (Professional Traders) কিছু পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে ট্রেডিং করে। যেমন ধরুন, ট্রেডিংয়ের ৬০ শতাংশ নির্ভর করে সাইকোলজি (Psychology) এর উপর। ৩০ শতাংশ আসে পসিশনিং সাইজিং (Positioning Sizing) থেকে এবং ১০ শতাংশ আসে বিভিন্ন কৌশল (Entry/Exit Signal Strategy) থেকে। তাহলে আমরা বুঝতে পারছি যে, ট্রেডিংয়ের জন্য পসিশনিং সাইজিং পদ্ধতি কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
পজিশন সাইজিং বলতে একজন বিনিয়োগকারী একটি নির্দিষ্ট নিরাপত্তায় বিনিয়োগ করা ইউনিটের সংখ্যা (Number of Shares) বোঝায়।
পসিশনিং সাইজিং (Long ) - বিক্রয় (Short ) করা উচিত?
পসিশনিং সাইজিং (Position Sizing) আপনাকে সাহায্য করে নির্ধারণ করতে কোন ট্রেডিংয়ের জন্য কতগুলি শেয়ার ক্রয় (Long) বা বিক্রয় (Short) করা উচিত। এটি নির্দেশ করে যে আপনি নির্দিষ্ট ট্রেডিংয়ের জন্য কী পরিমাণ ঝুঁকি নিচ্ছেন এবং আপনার পোর্টফোলিও থেকে কত টাকা রিটার্ন প্রত্যাশা করছেন।
উপযুক্ত পসিশনিং সাইজিং (Position Sizing) পরিমাপ নির্ধারণের জন্য একজন বিনিয়োগকারী ঝুঁকি সহনশীলতা এবং অ্যাকাউন্টের আকার বা পোর্টফোলিও বিবেচনা করতে হবে।
অনেক ট্রেডার আছেন যারা টেকনিক্যাল এবং ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস ব্যবহার করেন, তবে তবুও তারা ক্রমাগতভাবে অর্থ উপার্জন করতে পারেন না। এর প্রধান কারণ হলো তারা ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা অথবা পজিশনিং সাইজিং (Position Sizing) সঠিকভাবে প্রয়োগ করে না।
পসিশনিং সাইজিং গণনা করার প্রথম পদক্ষেপ
পসিশনিং সাইজিং (Position Sizing) করার জন্য আপনাকে প্রথমে জানতে হবে যে, আপনার একাউন্টে (Professional Stock Trader) কী পরিমাণ অর্থ অথবা নেট লিকুইডেশন (Net Liquidation) রয়েছে। এখানে নেট লিকুইডেশন বলতে বোঝানো হয়েছে যে আপনার কাছে কী পরিমাণ শেয়ার রয়েছে এবং তার বাজার মূল্য কত, পাশাপাশি আপনার অ্যাকাউন্টে (Stock Trader Pro) যে পরিমাণ টাকা অবশিষ্ট আছে, তার সমষ্টিকে।
একজন বিনিয়োগকারী নির্দিষ্ট ট্রেডিংয়ের জন্য উপযুক্ত পসিশন সাইজিং ব্যবহার করার আগে, তাদের অবশ্যই তাদের অ্যাকাউন্টের ঝুঁকি নির্ধারণ করতে হবে।
উদাহরণস্বরূপ, ধরুন আপনার একাউন্টে সর্ব মোট শেয়ার এবং নগদ অর্থসহ ১০,০০০ টাকা রয়েছে। তাহলে আমরা বলতে পারি, মোট অর্থ অথবা ❝ নেট লিকুইডেশন = সর্ব মোট শেয়ার + নগদ অর্থ = ১০,০০০/- ❞
পসিশনিং সাইজিং গণনা করার দ্বিতীয় পদক্ষেপ:
এখন আমাদের নির্ধারণ করতে হবে প্রতি ট্রেডে কী পরিমাণ ঝুঁকি রয়েছে। এখানে বোঝানো হচ্ছে, প্রত্যেক ট্রেডিংয়ে সর্বাধিক কী পরিমাণ লোকসান হয়েছে। যখন আপনার স্টপ-লস (Stop-Loss) হিট করে, তখন আপনি মোট অর্থ থেকে সর্বাধিক কী পরিমাণ লোকসান নিচ্ছেন, সেই সম্পর্কে আপনাকে জানাতে হবে।
বিনিয়োগকারীকে অবশ্যই নির্দিষ্ট শেয়ারের জন্য কোথায় তাদের স্টপ-লস অর্ডার দিতে হবে তা নির্ধারণ করতে হবে।
সাধারণত প্রতি ট্রেডে আপনার সর্ব মোট অর্থ পোর্টফোলিও থেকে লোকসান ১-৩ শতাংশের মধ্যে রাখতে হবে। প্রতি ট্রেডে ১ শতাংশের বেশি ঝুঁকি না নেওয়া ভালো। এই পদ্ধতি আপনাকে খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে সাহায্য করবে।
পসিশনিং সাইজিং গণনা করার তৃতীয় পদক্ষেপ:
প্রত্যেক বিনিয়োগের জন্য আপনার পজিশনিং সাইজ (Position Sizing) নির্ধারণ করুন। ধরুন, আপনি একটি X কোম্পানির শেয়ার ক্রয় করতে চান, যেখানে শেয়ারের প্রতি ক্রয় মূল্য ৮.৬০ টাকা। ক্রয় করা শেয়ারটির স্টপ লস (Stop-Loss) হিসেবে ৭.৯০ টাকা ধরে রাখলেন এবং আপনি শেয়ারটির থেকে লাভের প্রত্যাশা করছেন ১০.০০ টাকা।
এখন প্রশ্ন হলো, কোন অবস্থান থেকে শেয়ার ক্রয় করব? প্রথমে আসা যাক কিভাবে আমরা ঝুঁকি ক্যালকুলেশন করব: শেয়ারের ক্রয় মূল্য ৮.৬০ টাকা - স্টপ লস ৭.৯০ টাকা = ০.৭০ টাকা। এই হিসাব থেকে বোঝা যাচ্ছে প্রত্যেক শেয়ারে আমাদের ০.৭০ টাকা করে ঝুঁকি রয়েছে।
প্রতি ট্রেডে কত টাকা ঝুঁকি নিতে হবে এবং প্রতি শেয়ারে কত টাকা লাভ অথবা লোকসান হতে পারে, তা পজিশনিং সাইজ (Position Sizing) মাধ্যমে জানা যায়।
সহজ কথায় বলতে গেলে যদি আমরা এই ট্রেডে ব্যর্থ হই তাহলে ০.৭০ টাকা আমরা হারাবো ।বুঝার সুবিধার্থে এই ঝুঁকিকে আমরা ধরে নিচ্ছি -১R । এখন আসা যাক কিভাবে আমরা লাভ ক্যালকুলেশন করব যদি আমাদের লাভের অংশ ১০ টাকা হয় তাহলে , শেয়ার টি ক্রয় মূল্য ৮.৬০ টাকা - শেয়ারটির প্রফিট টার্গেট ১০.০০ টাকা = ১.৪০ টাকা উপরের হিসাব থেকে বোঝা যাচ্ছে প্রত্যেক শেয়ারে আমাদের ১.৪০ টাকা করে লাভ করব ।
সহজ কথায় বলতে গেলে যদি আমরা এই ট্রেডে লাভ করি তাহলে ১.৪০ টাকা আমরা পাব। বুঝার সুবিধার্থে এই ঝুঁকি কে আমরা ধরে নিচ্ছি ২R । তাহলে বুঝা যাচ্ছে যে আমরা ১ টাকার বিপরীতে ২ টাকা লাভের জন্য ট্রেড করছি । এখন আসা যাক কতগুলো শেয়ার সংখ্যা ক্রয় করব,
কতগুলো শেয়ার ক্রয় করব ?
X কোম্পানি শেয়ার সংখ্যা (Number of Company Shares) = % ট্রেড প্রতি ঝুঁকি (Risk Per Trade) × (অর্থ) Capital / শেয়ার প্রতি ঝুঁকি (Risk Per Share)।
X কোম্পানি শেয়ার সংখ্যা = ১% × ১০,০০০ / ০.৭০ = ১০০ / ০.৭০ = ১৪৩ শেয়ার সংখ্যা। তাহলে একটি ট্রেডে আমি সর্বোচ্চ ১০০ টাকা হারাবো।
যদি আমার একটি শেয়ার ০.৭০ টাকা করে লস হয়, তাহলে উপরের ক্যালকুলেশন অনুসারে আমার ১৪৩ শেয়ার কিনতে হবে। X কোম্পানির শেয়ার পজিশন সাইজ = ৮.৬০ × ১৪৩ = ১২২৯.৮০ টাকা।
যদি বৃষ্টির জন্য আশ্রয় বানাতে না পারো, তাহলে পূর্বাভাস দিতে পেরেও কোনো লাভ নেই।
উপরের ক্যালকুলেশন থেকে বোঝা যাচ্ছে যে যদি আপনার কাছে ১০,০০০ টাকা থাকে, তাহলে ১২২৯.৮০ টাকা অথবা ১৪৩ শেয়ার ক্রয় করতে হবে। এখানে একটি মজার ব্যাপার হলো যে ১২২৯.৮০ টাকার মধ্যে আপনার ঝুঁকি হলো শুধু মাত্র ১০০ টাকা। তাহলে আমাদের বুঝতে হবে যে আপনার পজিশনিং সাইজিং আপনার ঝুঁকি নয়।
এখন আমরা আরেকটি উদাহরণ দেখব যেখানে একটি শেয়ার ডাউন ট্রেন্ড (Downtrend) রয়েছে। আপনি একটি X নামক কোম্পানির শেয়ার বিক্রি (Short Sell) করতে যাচ্ছেন ধরুন।
কোম্পানি শেয়ার সংখ্যাকে কিভাবে বিক্রি (Short Sell) করবো?
শেয়ারের ক্রয় মূল্য (Entry Price) = ১৬.৫০ টাকা। শেয়ারে স্টপ লস (Stop-Loss) হিসেবে রাখলেন ১৮.৬০ টাকা এবং আপনি কতটুকু লাভ (Target Profit) নিতে যাচ্ছেন তা হল ১২.৩০ টাকা। এখন প্রশ্ন হলো কিভাবে শেয়ার বিক্রয় (Short Sell) করবো? প্রথমে আসা যাক কিভাবে আমরা ঝুঁকি ক্যালকুলেশন করব। শেয়ারটির বিক্রি (Short Sell) মূল্য ১৬.৫০ টাকা - স্টপ লস (ক্রয়) ১৮.৬০ টাকা = ২.১০ টাকা।
উপরের হিসাব থেকে বোঝা যাচ্ছে প্রত্যেক শেয়ারে বিক্রয় (Short Sell) ২.১০ টাকা করে ঝুঁকি রয়েছে। সহজ কথায় বলতে গেলে, যদি আমরা এই ট্রেডে বিক্রয় (Short Sell) করতে না পারি, তাহলে ২.১০ টাকা হারাবো। বুঝার সুবিধার্থে, এই বিক্রয় (Short Sell) ঝুঁকিকে আমরা ধরে নিচ্ছি -১R।
বিনিয়োগকারীরা তাদের নির্দিষ্ট ঝুঁকির সীমার চেয়ে বেশি হারাতে পারে যদি তাদের স্টপ-লস অর্ডার সঠিকভাবে না দিতে পারেন।
এখন আসা যাক কিভাবে আমরা লাভ ক্যালকুলেশন করব। যদি আমাদের লাভ (Target Profit) অংশ ১২.৩০ টাকা হয়, তাহলে বিক্রয় (Short Sell) মূল্য ১৬.৫০ টাকা - প্রফিট টার্গেট ১২.৩০ টাকা = ৪.২০ টাকা। উপরের হিসাব থেকে বোঝা যাচ্ছে প্রত্যেক শেয়ারে আমাদের ৪.২০ টাকা লাভ (Target Profit) হবে। সহজ কথায় বলতে গেলে, যদি আমরা এই ট্রেডে লাভ (Target Profit) করি, তাহলে ৪.২০ টাকা পাব। বুঝার সুবিধার্থে, এই ঝুকিকে আমরা ধরে নিচ্ছি ২R। এখন আসা যাক, কতগুলো শেয়ার সেল (Short Sell) করব।
কতগুলো শেয়ার সেল (Short Sell) করব?
X কোম্পানি শেয়ার সংখ্যা (Number of Company Shares) = % ট্রেড প্রতি ঝুঁকি (Risk Per Trade) × (অর্থ) Capital / শেয়ার প্রতি ঝুঁকি (Risk Per Share)। X কোম্পানি শেয়ার সংখ্যা = ১% × ১০,০০০ / ২.১০ = ১০০ / ২.১০ = -৪৮ শেয়ার সংখ্যা। তাহলে একটি ট্রেডে সর্বোচ্চ আমি ১০০ টাকা হারাবো।
যদি আমার একটি শেয়ার ২.১০ টাকা করে লোকসান হয়, তাহলে উপরের ক্যালকুলেশন অনুসারে আমার -৪৮ শেয়ার বিক্রয় (Short Sell) করতে হবে। X কোম্পানির শেয়ার পজিশন = ১৬.৫০ × -৪৮ = -৭৯২.০০ টাকা।
যদি একজন বিনিয়োগকারী ১৬০ টাকা গ্রামিনফোনের শেয়ার কিনতে চান এবং ১৪০ টাকা স্টপ-লস অর্ডার দিতে চান, তাহলে ট্রেডের ঝুঁকি প্রতি শেয়ার ২০ টাকা।
উপরের ক্যালকুলেশন থেকে বোঝা যাচ্ছে যে যদি আপনার কাছে ১০,০০০ টাকা (+/-) থাকে, তাহলে -৭৯২.০০ টাকা অথবা -৪৮ শেয়ার বিক্রয় (Short Sell) করতে হবে। এখানে একটি মজার ব্যাপার হলো যে -৭৯২.০০ টাকার মধ্যে আপনার ঝুঁকি হলো শুধুমাত্র ১০০ টাকা। তাহলে আমাদের বুঝতে হবে যে আপনার পজিশন সাইজিং (Position Sizing) পরিবর্তন হচ্ছে, কিন্তু আপনার জন্য ঝুঁকি কোন পরিবর্তন হচ্ছে না।
এক নজরে দেখে নিন
মনের অজান্তে তৈরি হয়া কিছু প্রস্ন | হ্যাঁ | না |
---|---|---|
আমি টেকনিক্যাল এবং ফান্ডামেন্টাল এনালাইসিস বুঝি না, আমার কি ক্যাপিটাল মার্কেট এ ইনভেস্ট করা উচিত? | ❌ | ✔ |
ব্রোকারেজ হাউজে কর্মরত কোন বড় ভাই অথবা অফিশিয়াল ট্রেডার অথবা টেলিভিশন অথবা সোশ্যাল মিডিয়া কোথায় কোন স্টকে ইনভেস্ট করা উচিত? | ❌ | ✔ |
আমি নতুন পুঁজি বাজারে এসেছি, আমার কি ডে ট্রেডিং (২ দিন) করা উচিত? | ❌ | ✔ |
শেয়ারের দাম কমে গেলে আমার কি স্টপ লস ব্যবহার করা উচিত? | ✔ | ❌ |
নতুন বিনিয়োগকারী পুঁজিবাজারে কি ওয়িক ট্রেডিং (সপ্তাহ) করা উচিত? | ❌ | ✔ |
আমি যতটুক জানি ততটুকু শেয়ার করার চেষ্টা করলাম। আশা করছি আপনাদের ভালো লেগেছে। বিনিয়োগকারী.কম শেয়ার মার্কেট সম্পর্কে গণসচেতনতা মূলক পোস্ট করার চেষ্টা করছি। শুধুমাত্র নতুন বিনিয়োগকারীদের জন্য। যারা শেয়ার (Share Market) মার্কেটে জুয়াড়ির মনোভাব নিয়ে বিশ্লেষণ করেন, তাদের থেকে যত দূরে থাকবেন ততোই ভালো। একটি কথা সবসময় মনে রাখবেন ❝ অর্থ আপনার সিদ্ধান্ত আপনার ❞
গুগল প্লে স্টোর থেকে শেয়ার বাজার সম্পর্কে সেরা বিনিয়োগকারী.কম মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করুন। বিনিয়োগকারী.কম বাংলাদেশে সর্বপ্রথম পুঁজিবাজার সম্পর্কিত একটি পূর্ণাঙ্গ ওয়েবসাইট - আমাদের সাথে যুক্ত থাকুন! বিনিয়োগকারী.কম এখন ইউটিউবে! নিয়মিত ক্যাপিটাল মার্কেট বিষয়ক ভিডিওগুলো পেতে Biniogkari ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন!