শীর্ষ ৫ ব্রোকারেজ হাউজ ➳ Top Brokerage House
একজন বিনিয়োগকারী হিসেবে সফল ক্যারিয়ার গড়ার জন্য একটি ভালো Brokerage House বেছে নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেমনটি আমরা জানি, স্টক মার্কেট থেকে সঠিক স্টক বাছাই করা কঠিন, তেমনই একটি ভালো Brokerage House নির্বাচন করাও সহজ কাজ নয়।
বাংলাদেশে বিভিন্ন Brokerage House নিয়ে ইন্টারনেটে অনেক নিবন্ধ বা পোস্ট পাওয়া যায়, তবে বাংলায় ব্রোকারেজ হাউস এবং বিও অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত সঠিক তথ্যের অভাব রয়েছে।
এই নিবন্ধের মাধ্যমে আমি আপনাকে একটি Brokerage House কীভাবে নির্বাচন করতে হয় সে সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। আশা করি, এই পোস্টটি পড়ে আপনি সেরা Brokerage House বেছে নিতে সক্ষম হবেন।
🩸 যত বেশি লেনদেন করবেন, ব্রোকারেজ হাউসের লাভ তত বেশি হবে। তাদের প্রধান লক্ষ্য সাধারণ বিনিয়োগকারীদের থেকে রাজস্ব সংগ্রহ করা। তাই সচেতন থেকে এবং সঠিকভাবে ব্রোকার নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ।
ব্রোকারেজ হাউজ কী?
বাংলাদেশ স্টক এক্সচেঞ্জ দ্বারা অনুমোদিত বহু অথরাইজড এজেন্ট রয়েছে, যাদের ব্রোকারেজ হাউস বলা হয়। ব্রোকার হাউজ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন থেকে প্রাপ্ত লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান, যারা শেয়ার বাজারে শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়, আইপিওর টাকা জমা, এবং সিডিবিএল (CDBL) এর ফি জমার কাজ করেন, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য পরিষেবা প্রদান করে।
সহজ কথায় বলতে গেলে, ব্রোকারেজ হাউজ হ'ল এমন একটি সংস্থা যা ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে আর্থিক সিকিওরিটির (Financial Security) যেমন স্টক (Stock), মিউচুয়াল ফান্ড (Mutual Fund Investment) এবং বন্ড (Bond) ইত্যাদি বাণিজ্য করতে সহায়তা করে। একজন বিনিয়োগকারী হিসেবে, ব্রোকারেজ অ্যাকাউন্ট (Brokerage Account/Securities Account) থাকার অর্থ আপনি সিকিউরিটি গুলি (Stocks) ক্রয়-বিক্রয় করতে পারবেন।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইনের ১৯৯৩ এর ধারা ১০ এর অধীনে বলা হয়েছে যে, বাংলাদেশ শেয়ার মার্কেটে কেনা-বেচা সহ সকল কাজ পরিচালনা করার জন্য সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন একটি সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠান। এই আইনের অধীনে মার্চেন্ট ব্যাংকারস (Merchant Bankers), ইনভেস্টমেন্ট এডভাইজারস (Investment Advisors), ট্রাস্টি অব ট্রাস্ট ডীডস (Trustee Of Trust Deeds), ইস্যু ম্যানেজারস (Issue Managers), আন্ডাররাইটারস (Underwriters), পোর্টফোলিও ম্যানেজারস (Portfolio Managers), কাস্টডিয়ানস (Custodians), ক্রেডিট রেটিং কোম্পানিগুলি (Credit Rating Companies) এবং অন্যান্য সকল প্রতিষ্ঠানের জন্য লাইসেন্স বাধ্যতামূলক।
বাংলাদেশে যত ধরনের ব্রোকার প্রতিষ্ঠান বা ব্রোকারেজ হাউজ আছে, সেগুলো সিকিউরিটিজ ফার্ম বা সিকিউরিটিজ কোম্পানি হিসেবে পরিচিত। একটি ব্রোকারেজ হাউজ অনেকটা ব্যাংকের মতো কাজ করে।
ব্যাংক যেমন অ্যাকাউন্ট খোলার মাধ্যমে টাকা জমা নেওয়া ও উত্তোলনসহ নানা ভাবে মানুষকে সাহায্য করে, ঠিক তেমনি ব্রোকারেজ হাউজগুলো সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বিও অ্যাকাউন্ট খোলার মাধ্যমে প্রাইমারি Initial Public Offering (IPO) এবং সেকেন্ডারি শেয়ার মার্কেট থেকে শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য টাকা জমা নেয়।
ব্রোকারেজ হাউজগুলি প্রতিটি লেনদেনের সময় ক্রেতা-বিক্রেতার কাছ থেকে আর্থিক ফি গ্রহণ করে এবং অ্যাকাউন্ট পরিচালনা সহ অন্যান্য সরকারী প্রশাসনিক ফি যুক্ত করে আয় করে।
বিনিয়োগ করার আগে ব্রোকারের ধারণা
বিনিয়োগের পূর্বে ব্রোকার ধারণা | বিবরণ |
---|---|
ব্রোকারেজ হাউজ স্টক মার্কেটে আপনাকে গাইড এবং প্রতিনিধিত্ব করে | ✔ |
ব্রোকারেজ হাউজ স্টক ক্রয় এবং বিক্রয় করতে পারে | ✔ |
একটি ভাল ব্রোকারেজ হাউজ বিনিয়োগের পূর্বে বাজারে বিনিয়োগ বিকল্প সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রদান করে | ✔ |
ব্রোকারেজ হাউজ শেয়ারের মূল্য সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রদান করে | ✔ |
ব্রোকারেজ হাউজ বাজারের গতিবিধি সম্পর্কে প্রতিনিয়ত আপডেট রাখে | ✔ |
বাংলাদেশে ব্রোকারেজ হাউজ নির্বাচন করাটা অনেকটা জুতা বাছাইয়ের মতো; আপনি যদি নিজের পায়ের আকার সম্পর্কে না জানেন, তবে আপনার জন্য উপযুক্ত জুতা নির্বাচন করতে পারবেন না।
ব্রোকারেজ হাউস নির্বাচনের আগে করনীয়?
Brokerage House নির্বাচনের আগে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগের নিয়ম সম্পর্কে ধারণা থাকা জরুরি। যেমন, আপনার ব্যক্তিত্বের ধরণ এবং বিনিয়োগের চাহিদা সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকতে হবে। এরপর, নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী ব্রোকারেজ হাউজ নির্বাচন করতে পারবেন। বাংলাদেশে ব্রোকারেজ হাউজ নির্বাচন অনেকটা সঠিক জুতা বাছাইয়ের মতো।
কথাটি মজার হলেও সত্য, আপনি যদি নিজের পায়ের সঠিক আকার না জানেন, তাহলে আপনার জন্য উপযুক্ত জুতা নির্বাচন করা সম্ভব হবে না। ফলে, সেই জুতা আপনাকে অস্বস্তিকর অথবা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলতে পারে।
কোন ব্রোকারেজ হাউজ মূল্যায়ন করার সময় বিনিয়োগকারীদের খরচ, ব্যবসায়ের ধরনসহ বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করা উচিত। হাজারো ব্রোকারেজ হাউজের ভিড়ে আপনার অর্থ কোথায় বিনিয়োগ করবেন তা সঠিকভাবে নির্ধারণ করা বেশ চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। ঠিক সেই কারণেই, Biniogkari.com বিনিয়োগ শিক্ষার উদ্দেশ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
আপনার লাভ অথবা ক্ষতি ব্রোকারেজ হাউজের জন্য বড় বিষয় নয়। আপনি যত বেশি ট্রেড করবেন, ততই ব্রোকারেজ হাউজগুলো লাভবান হবে।
কিভাবে ব্রোকারেজ হাউজ নির্বাচন করবেন?
আমরা জানি, বাংলাদেশের Brokerage House গুলোর মধ্যে অনেক প্রতিযোগিতা হয়ে থাকে। তাই একজন সাধারণ বিনিয়োগকারী অনেক সময় লোভের বশবর্তী হয়ে ভুল ব্রোকারেজ হাউজ নির্বাচন করে ফেলেন। এর ফলে একজন বিনিয়োগকারী সহজেই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। তবে, আপনি যদি সঠিকভাবে একটি ব্রোকারেজ হাউজ (Brokerage House) নির্বাচন করতে পারেন, তাহলে বড় ধরনের লোকসান থেকে রক্ষা পেতে পারেন। মনে রাখবেন, ব্রোকারেজ হাউজ অনেকটা ক্যাসিনোর মতো।
আপনার লাভ অথবা ক্ষতি ব্রোকারেজ হাউজের জন্য কোনো বড় বিষয় নয়। আপনি যত বেশি ট্রেড করবেন, ততই ব্রোকারেজ হাউজগুলো লাভবান হবে। তাদের ব্যবসার মূল লক্ষ্য হচ্ছে ❝ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে রাজস্ব আদায় করা ❞। আমি একটি ছোট বাস্তব উদাহরণের মাধ্যমে বিষয়টি আপনাদের বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি।
উপরের ছবিতে একটি স্ক্রিনশট দেখা যাচ্ছে যে একজন সাধারণ বিনিয়োগকারীকে না জানিয়ে একটি শেয়ার বার বার বিক্রি করা হয়েছে। যদি অ্যাকাউন্টে ব্যালেন্স (-) থাকতো, তাহলে ওই পরিমাণ টাকার শেয়ার একবারে বিক্রি করতে পারতেন। কিন্তু তারা (ব্রোকারেজ হাউস) তা না করে অল্প অল্প করে পাঁচবার ট্রানজেকশন (বিক্রয়) করেছে।
এটি খুবই দুঃখজনক। নিশ্চয়ই আপনি অবাক হচ্ছেন! এমন একজন ছোট্ট বিনিয়োগকারীও ব্রোকারেজ হাউজ থেকে রক্ষা পাচ্ছে না। হাস্যকর :D হলেও, এটি সত্যিই দুঃখজনক। আরও অনেক উদাহরণ বাংলাদেশের Brokerage House সম্পর্কে দেওয়া যেতে পারে। আপনি কখনোই কল্পনা করতে পারবেন না। সুতরাং, বাংলাদেশি Brokerage House গুলো থেকে সাবধান!
রেগুলার ফিস ছাড়াও ব্রকারেজ হউসে যে ভাবে টাকা কাটে
অনেক সাধারণ বিনিয়োগকারী আছেন, যারা কোন যাচাই-বাছাই না করেই কম টাকায় বেশি লাভের ভিত্তিতে হাতের কাছে যেটাই পান, সেই জায়গায় বিও খুলে বসে থাকেন। কিন্তু তাদের নিতান্ত অবহেলা ও অজ্ঞতার কারণে বছর প্রতি কত পরিমাণ লোকসানের সম্মুখীন হন, তা বলা বাহুল্য।
সহজ বাংলা ভাষ্যে, বর্তমানে ব্রোকারেজ হাউজের কমিশন স্ট্যান্ডার্ড লেনদেন কমিশন ফি ০.৪০%। এর উপরে যে ব্রোকারেজ হাউস নিচ্ছে (০.৪৫% অথবা ০.৫০%) তারা সবাই ❝ রীতিমত দিন দুপুরে আপনার অগোচরে ডাকাতি করছে ❞।
আপনি হয়তো ভুলে একটি ব্যাংকের AB BANK ৫.৮ টাকা দরে এক পিস (Odd Lot) কিনেছেন, কিন্তু এর জন্য কমপক্ষে আপনাকে ১০ টাকা চার্জ দিতে হবে। অর্থাৎ শেয়ারটির দাম পড়বে ১০ + ৫.৮ = ১৫.৮ টাকা। এজন্য কখনো এক/দুই পিস অথবা (Odd Lot) কিনবেন না, বরং একটু বেশি করে ৫০০ কিনবেন।
যারা দুই স্টক এক্সচেঞ্জে (DSE) এবং (CSE) লেনদেন করেন, তাদের ক্ষেত্রে ধরুন, একই দিনে ঢাকা থেকে ক্রয় করে চট্টগ্রামে অ্যাডজাস্ট সেল করলেন অথবা একই দিনে চট্টগ্রাম থেকে কিনে ঢাকা সেল করলেন। তাহলে আপনাকে ২ দিনের সুদ দিতে হবে, সর্বমোট ক্রয়-বিক্রয় উপর বার্ষিক ১৭%(+-) হারে।
এছাড়া কিছু এক্সট্রা হিডেন কমিশন (Hidden Charges) আছে, যা আপনাকে ব্রোকারেজ হাউস কখনোই আপনাকে জানাবে না। অথবা যদি বলে, তাহলে শুধু বলবে যে আর কোন ফি অথবা কমিশন নেই (No Hidden Charges), কিন্তু একটি নির্ধারিত ফি আছে যা প্রতি ১-৩ মাস অন্তর কাটে থাকে।
🔺 ০.৫০ শতাংশ(%) থেকে আপনার অজান্তেই 🔺 ০.১০ শতাংশ(%) করে টাকা পাচ্ছে আপনারই খুব কাছের মানুষটি, হতে পারে যিনি আপনাকে নিয়ে এসেছেন অথবা যে ট্রেডারের মাধ্যমে আপনি ক্রয়-বিক্রয় করছেন অথবা কোন ব্রাঞ্চ ম্যানেজার।
অথচ আপনি দর-কষাকষি করলে আপনাকে 🔻 ০.৪০ শতাংশ(%) (+-) কমিশনে ক্রয়-বিক্রয় করতে দিতে যে কোন হাউজ সবিনয়ে বাধ্য থাকবে।
❝ ভাবছেন 🔻 ০.১০ শতাংশ(%) আবার এমন কি, যার জন্য চুল ছেড়ে বিশ্লেষণ করতে হবে? তাহলে অবুজ বিনিয়োগকারী আপনি ❞
ধরুন, আপনি যদি কোন শেয়ার একই দিনে ৫০০০ সংখ্যক শেয়ার ১১৫০০ টাকা মূল্যে ক্রয় করেন এবং মাত্র ২.০০ টাকা লাভে ১১৫২০.০০ টাকায় বিক্রি করেন, এ ক্ষেত্রে আপনাকে ফি (Charge) দিতে হবে দুই গুন (২X) একবার ক্রয়ে এবং একবার বিক্রয়ে ক্যাশ অর্থ ০.৫০ শতাংশ(%) + ০.৫০ শতাংশ(%) = ১.০০ শতাংশ(%) 🔺 টাকা অর্থাৎ, আপনার লোকসান অথবা লসই হবেই হবে।
আবার, প্রাইমারি (Primary) অথবা আইপিওতে (IPO) শেয়ার বিক্রি করতে গেলে, বিক্রয় সর্বমোট এমাউন্ট টাকার উপর কমিশন অনেকটাই বেশি অর্থাৎ, দিগুণ ১.০০ শতাংশ(%) কাটবে।
যারা, প্রতিদিন ক্রয়-বিক্রয় করেন, তারা গড়ে প্রতি সাতদিনে সাধারণত ২টি ট্রেড করে থাকেন। এখন আপনার যদি ৫ লাখ টাকার পোর্টফোলিও (Portfolio) অথবা শেয়ার থাকে তাহলে, আপনি প্রতি সাতদিনে ২টি ট্রেড করেন।
অর্থাৎ, ৫ দিনের মধ্যে মাত্র ২ দিনে ২ বার ক্রয় ও ২ বার বিক্রয় করেন, অর্থাৎ লেনদেন করে থাকেন ২০,০০০০০ টাকা। মাসে করেন ৮০,০০০০০ টাকা। বছরে করেন (৯,৬০,০০০০০) ৯ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা।
ফলে এখান থেকে ❝ আপনার পরিচিত মনের মানুষ বড় ভাই, আপনার স্বপ্নের ট্রেডার অথবা ব্রাঞ্চ ম্যানেজার অর্জন করবে সুধুমাত্র ক্যাশ ৯৬,০০০ টাকা মাত্র ‼ বাহ! কি সুন্দর 🩸 ❞ ইন্টারনেটের যুগে যেখানে এখন ঘরে বসেই লেনদেন করা যাচ্ছে, সেখানে একেবারে কাছের ব্রোকারেজ হাউসে গিয়ে উচ্চ মানের কমিশন দিয়ে লেনদেন করার দরকার টা কি? টাকা তুলবেন? ব্রোকারেজ হাউজ থেকে তো আর ক্যাশ অর্থ তুলতে পারবেন না, তারা ব্যাংকে পাঠাবে BEFTN: Bangladesh Electronic Fund Transfer Network অথবা EFTN: Electronic Fund Transfer Network অথবা RTGS: Real Time Gross Settlement এর মাধ্যমে। কাছাকাছি ব্যাংক/এটিএম বুথ থাকলেই চলে।
এখন যারা সেই ০.৫০ শতাংশ(%) এ পড়ে আছেন, তারা এখন ব্রোকারেজ হাউজে আপনার প্রাণের বড় ভাই কাছে গিয়ে কমিশন কমাবেন, অন্যথায় না কমালে স্রেফ হাউজ পরিবর্তন করুন।
একটি ভালো ব্রোকার হাউজ বাছাই করার জন্য আপনার কি দরকার?
একটি ভালো ব্রোকারেজ হাউস বেছে নেওয়ার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য বিষয় রয়েছে। এটি সম্পূর্ণরূপে আপনার প্রয়োজনীয়তা এবং লক্ষ্য উপর ভিত্তি করে। নিম্নলিখিত কিছু বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে চিন্তা করা উচিত:
লক্ষ্য
ব্রোকারেজ হাউস থেকে আপনার কী ধরনের পরিষেবা এবং সহায়তা প্রয়োজন সে সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা রাখুন এবং কোন পরিষেবাগুলির প্রয়োজন তা নির্ধারণ করুন।
নিবন্ধন এবং নিয়ম
ব্রোকারেজ হাউস অবশ্যই নিবন্ধিত হতে হবে এবং প্রয়োজনে উপযুক্ত প্রাতিষ্ঠানিক সম্পদ থাকতে হবে। সম্পদ বিনিময় বা বিনিয়োগের ক্ষেত্রে, একটি ভালো ব্রোকারেজ হাউস একটি কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত হতে পারে।
গ্রাহক সেবা
একটি ভালো ব্রোকারেজ হাউস সবসময় গ্রাহক পরিষেবা প্রদান করে। আপনি তাদের কর্মক্ষমতা এবং পরিষেবা সম্পর্কে ধারণা পেতে কোম্পানির গ্রাহকের সংখ্যা পর্যালোচনা করতে পারেন।
বিশ্লেষণ
একটি ভালো ব্রোকারেজ হাউসে অভিজ্ঞ এবং কার্যকর সিনিয়র এক্সিকিউটিভ এবং বিশ্লেষক (Fundamental and Technical Analysis) রয়েছে, যারা নির্দেশনা এবং পরামর্শের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন।
কমিশনের হার
ব্রোকারেজ হাউসের কমিশন হার পর্যালোচনা করুন এবং বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউসের কমিশন হারের তুলনা করুন।
একটি ভালো ব্রোকারেজ হাউস বেছে নেওয়ার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিবেচ্য বিষয় নিম্নে দেওয়া হলো:ভাল ব্রোকাররের গুণাবলি | থাকতে হবে |
---|---|
গবেষণামূলক কার্যক্রম | ✔ |
ভালো কাস্টমার সার্ভিস | ✔ |
পর্যাপ্ত পরিমাণে ডাটা ব্যাংক | ✔ |
ফি | ✔ |
স্টক ট্রেড ফি | ✔ |
ব্রোকার সহায়তায় বাণিজ্য ফি | ✔ |
একাউন্ট খোলার জন্য ন্যূনতম আমানত | ✔ |
সর্বনিম্ন গড় মাসিক ব্যালেন্স | ✔ |
নিষ্ক্রিয়তা ফি | ✔ |
মার্জিন রেট | ✔ |
কমিশন ফ্রি | ✔ |
প্ল্যাটফর্ম | ✔ |
ডেস্কটপ | ✔ |
ওয়েব প্ল্যাটফর্ম | ✔ |
ভাল ব্রোকাররের গুণাবলি | থাকতে হবে |
---|---|
আইফোন অ্যাপ | ✔ |
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ | ✔ |
সীমাবদ্ধতা / স্টপ অর্ডার | ✔ |
অ্যাপ্লিকেশন গোপন ব্যয় | ✔ |
শিক্ষার জন্য রিসোর্স | ✔ |
চার্টিং সফটওয়্যার | ✔ |
ইন্ডিকেটর এবং রিপোর্ট | ✔ |
কম্পান ওয়াচ লিস্ট | ✔ |
ব্যাংকিং/মোবাইল মানি ট্রান্সফার সেবা | ✔ |
চেকিং একাউন্ট/নগদ | ✔ |
সঞ্চয়ী হিসাব | ✔ |
পিও - পে অর্ডার | ✔ |
ইএফটি / বিএফটিএন - ফান্ড ট্রান্সফার | ✔ |
ক্রেডিট কার্ড ডেবিট কার্ড | ✔ |
বাংলাদেশে কি ধরনের (ভাল/খারাপ) ব্রোকার কোম্পানি রয়েছে?
২০২১ সালে ব্রোকারেজ হাউজগুলোর টপ ২০ ব্রোকারেজ হাউস ইন বাংলাদেশ কিছু তালিকা প্রকাশ করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ডিএসই (Dhaka Stock Exchange)। নিচের লিংকের মাধ্যমে আমরা কিছু ভাল ব্রোকারেজ হাউজের নাম তুলে ধরেছি। এই শীর্ষে ২০ ব্রোকারেজ হাউজের (list of brokerage house in bangladesh) তালিকা ব্রোকার হাউজ লিস্ট অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো হলোঃ
No | তালিকা | Name |
---|---|---|
1 | লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ লিমিটেড | Lankabangla Securities Limited. |
2 | ইউসিবি স্টক ব্রোকারেজ লিমিটেড। | UCB Stock Brokerage Limited. |
3 | সিটি ব্রোকারেজ লিমিটেড। | City Brokerage Limited. |
4 | আইসিবি সিকিউরিটিজ ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেড | ICB Securities Trading Company Limited |
5 | আইডিএলসি সিকিউরিটিজ লিমিটেড | IDLC Securities Ltd. |
6 | ইবিএল সিকিউরিটিজ লিমিটেড | EBL Securities Ltd. |
7 | ব্র্যাক ইপিএল স্টক ব্রোকারেজ লিমিটেড | BRAC EPL Stock Brokerage Ltd. |
8 | ইউনাইটেড ফাইন্যান্সিয়াল ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেড | United Financial Trading Company Limited |
9 | শেলটেক ব্রোকারেজ লিমিটেড | Sheltech Brokerage Ltd. |
10 | ব্যাংক এশিয়া সিকিউরিটিজ লিমিটেড। | Bank Asia Securities Limited. |
No | তালিকা | Name |
---|---|---|
11 | এমটিবি সিকিউরিটিজ লিমিটেড | MTB Securities Ltd. |
12 | শান্তা সিকিউরিটিজ লিমিটেড | Shanta Securities Ltd. |
13 | ইউনাইটেড সিকিউরিটিজ লিমিটেড | United Securities Ltd. |
14 | মার্কেন্টাইল ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেড | Mercantile Bank Securities Ltd. |
15 | শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেড | Shahjalal Islami Bank Securities Limited |
16 | বিডি সানলাইফ সিকিউরিটিজ লিমিটেড | BD Sunlife Securities Ltd. |
17 | এআইবিএল ক্যাপিটাল মার্কেট সার্ভিসেস লিমিটেড | AIBL Capital Market Services Ltd. |
18 | ইউনিক্যাপ সিকিউরিটিজ লিমিটেড | Unicap Securities Ltd. |
19 | ভারটেক্স স্টক অ্যান্ড সিকিউরিটিজ লিমিটেড | Vertex Stock and Securities Limited |
20 | এনআরবিসি ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেড | NRBC Bank Securities Limited. |
এছাড়া, পুঁজিবাজারে শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় করা জন্য নতুন ৩০টি ব্রোকারেজ হাউজ বা ট্রেকের (ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট) অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ডিএসইর সদস্য হিসেবে এসব প্রতিষ্ঠান শেয়ারবাজারে লেনদেনের সনদ পাবে।
বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে যে, পুঁজিবাজার ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হতে যাচ্ছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের মালিকানাধীন মোনার্ক হোল্ডিংস। বিনিয়োগকারীদের লেনদেনের প্রতিষ্ঠান খোলার প্রাথমিক অনুমোদন পেয়েছে মোনার্ক হোল্ডিংস। এছাড়া নতুন ট্রেক অনুমোদন পাওয়া ৩০টি প্রতিষ্ঠান হলোঃ
No | নাম | Name |
---|---|---|
1 | কেডিএস শেয়ার অ্যান্ড সিকিউরিটিজ | KDS Shares and Securities |
2 | আল হারমাইন সিকিউরিটিজ | Al Hermine Securities |
3 | মীর সিকিউরিটিজ | Mir Securities |
4 | টিকে শেয়ার অ্যান্ড সিকিউরিটজ | TK Share and Securities |
5 | এনআরবি ব্যাংক সিকিউরিটিজ | NRB Bank Securities |
6 | এসবিএসি ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট | SBAC Bank Investment |
7 | আমায়া সিকিউরিটিজ | Amaya Securities |
8 | প্রুডেন্সিয়াল ক্যাপিটাল | Prudential Capital |
9 | তাকাফুল ইসলামী সিকিউরিটিজ | Takaful Islamic Securities |
10 | বিএনবি সিকিউরিটিজ | BNB Securities |
11 | অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স সিকিউরিটিজ | Leading Insurance Securities |
12 | কবির সিকিউরিটিজ | Kabir Securities |
13 | মোনার্ক হোল্ডিংস | Monarch Holdings |
14 | সোহেল সিকিউরিটিজ | Sohail Securities |
15 | আরএকে ক্যাপিটাল | RAK Capital |
16 | যমুনা ব্যাংক সিকিউরিটিজ | Jamuna Bank Securities |
No | নাম | Name |
---|---|---|
17 | স্নিগ্ধা ইক্যুইটিস | Smooth Equities |
18 | ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটিজ কোম্পানি | International Securities Company |
19 | সাউথ এশিয়া সিকিউরিটজ | South Asia Securities |
20 | ট্রাইস্টার সিকিউরিটিজ | Trister Securities |
21 | ৩ আই সিকিউরিটিজ | 3i Securities |
22 | সোনালী সিকিউরিটিজ | Sonali Securities |
23 | মাহিদ সিকিউরিটিজ | Mahid Securities |
24 | বারাকা সিকিউরিটিজ | Baraka Securities |
25 | এএনসি সিকিউরিটিজ | ANC Securities |
26 | এসএফআইএল সিকিউরিটিজ | SFIL Securities |
27 | তাসিয়া সিকিউরিটিজ | Tassia Securities |
28 | ডাইনেস্টি সিকিউরিটিজ | Dynasty Securities |
29 | সেলেস্টিয়াল সিকিউরিটিজ ও ট্রেড এক্স সিকিউরিটিজ। | Celestial Securities and Trade X Securities. |
ডিএসই, সিএসই এবং সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) যৌথভাবে এই তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এছাড়া, ডিএসইর সদস্যভুক্ত মোট ব্রোকারেজ হাউজ বা ট্রেকের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮০টি।
একটি ব্রোকারেজ হাউজ স্টক এক্সচেঞ্জ এবং এসইসি উভয়ের কাছে দায়বদ্ধ থাকে। আপনার কোন সহায়তার জন্য তাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দিতে পারবেন। যদি আপনার অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হয়, তাহলে আপনার বিও অ্যাকাউন্ট আছে সেই ব্রোকারেজ হাউসকে জরিমানা করতে পারবেন।
তাদের সকল কেনাবেচা সাময়িক বা স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিতে পারবেন। এমনকি, বাংলাদেশ স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যপদ বাতিল করার ক্ষমতা রাখেন।
- 🔹 বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এবং এক্সচেঞ্জ কমিশন
- 🔹 ডিপোজিটরি সদস্যদের তালিকা
- 🔹 TREC ধারক তালিকা (বর্ণানুক্রমে)
- 🔹 TREC এর আইন ও বিধিমালা
বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, যেসব ব্রোকারেজ হাউজের কার্যক্রম তদন্ত করা হবে সেগুলো হলো ডিএসইর সদস্য ব্রোকারেজ হাউজ:
No | নাম | Name |
---|---|---|
1 | মিডওয়ে সিকিউরিটিজ | Midway Securities |
2 | রয়েল ক্যাপিটাল | Royal Capital |
3 | এএনএফ ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি | ANF Management Company |
4 | সিনহা সিকিউরিটিজ | Sinha Securities |
5 | গ্লোব সিকিউরিটিজ লিমিটেড | Globe Securities Limited |
6 | সিএসইর সদস্য ব্রোকারেজ হাউজ | Brokerage House Member of CSE |
7 | ভ্যানগার্ড শেয়ার অ্যান্ড সিকিউরিটিজ | Vanguard Shares and Securities |
8 | কবির সিকিউরিটিজ লিমিটেড | Kabir Securities Limited |
কিভাবে Brokerage House অ্যাকাউন্ট খুলবেন?
সাধারণত একজন বিনিয়োগকারী শেয়ার ক্রয় ও বিক্রয় করতে বিও অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে। যেমনটি আমরা আমাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ রাখি, ঠিক তেমনি, একটি শেয়ারকে রাখার জন্য বিও অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হয়। সহজ কথায় বলতে গেলে, শেয়ার বাজারে শেয়ার কিনতে বা বিক্রয় করতে পারে কেবল বিও অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে।
আপনি যখনই কোনো শেয়ার কেনা-বেচা করবেন, তখন আপনার সমস্ত অর্থ আপনার ডিমেট অ্যাকাউন্টে আসে। আর এই ডিমেট অ্যাকাউন্টটি আপনার ব্যাংক একাউন্টের সাথে যুক্ত থাকে, যার মাধ্যমে খুব সহজেই আপনি আপনার ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট থেকে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ প্রেরণ করতে পারেন। তাই, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য একটি বিও অ্যাকাউন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আপনি যদি শেয়ার মার্কেটে Dhaka Stock Exchange Market আপনার অর্থ বিনিয়োগ করতে চান, তবে একটি সঠিক ব্রোকারেজ হাউজ নির্বাচন করতে হবে। এখন ধরুন, আপনার পছন্দের ব্রোকারেজ হাউজটি নির্বাচন করে ফেলেছেন। আপনি তাদের কাছ থেকে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে চান। অ্যাকাউন্ট সাধারণত দুই রকমের হয়ে থাকে: একটি হল ইন্ডিভিজুয়াল (Individual) এবং অপরটি হল জয়েন্ট (Joint) একাউন্ট।
আমরা যেভাবে আমাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ রাখি, ঠিক তেমনি, একটি শেয়ারকে রাখার জন্য বিও অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হয়।
সিডিবিএল কর্তৃক নির্ধারিত একাউন্ট খোলার নিয়ম?
একটি BO অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য নিম্নলিখিত ডকুমেন্টগুলো প্রয়োজন: সাধারণ ব্যক্তিগত তথ্য, যেমন নাম, ঠিকানা, ইমেল ঠিকানা, জন্ম তারিখ, সামাজিক সুরক্ষা নম্বর বা অন্যান্য কর শনাক্তকরণ নম্বর ইত্যাদি। এছাড়া, একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স বা পাসপোর্ট অথবা এনআইডি, কর্মসংস্থানের অবস্থা এবং বার্ষিক আয়, হিসাবের ধরণ, বিনিয়োগের উদ্দেশ্য যেমন ঝুঁকি সহনশীলতা বা আপনি যে ধরনের তহবিল বিনিয়োগ করতে চান।
আজকাল অনলাইনের (Online Stock Broker) মাধ্যমে আপনি বিও অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। সিডিবিএল কর্তৃক নির্ধারিত অ্যাকাউন্ট খোলার আবেদন পত্র পূরণ করে নিবন্ধন করতে হবে।
নিবন্ধনকারীকে দুই কপি রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ছবি, এবং ছবিটির পেছনে আবেদনকারীর স্বাক্ষর (Signature) অবশ্যই থাকতে হবে। আপনার স্বাক্ষরটি যেন আপনার ব্যক্তিগত (Individual) ব্যাংক একাউন্টের স্বাক্ষরের সাথে মিল থাকে। আপনি যাকে নমিনি (Nominee) দেবেন, তার জন্যও দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি সংযুক্ত করতে হবে এবং ছবির পিছনে নিবন্ধনকৃত ব্যক্তির স্বাক্ষর থাকতে হবে, যা সত্যায়িত করতে হবে।
এছাড়া, আপনার ভোটার আইডি, পাসপোর্টের প্রথম চার পাতা, ন্যাশনাল আইডির ফটোকপি, অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্সের কপি, ব্যাংক সলভেন্সি সার্টিফিকেট সংযুক্ত করতে হবে।
বর্তমানে শেয়ারবাজারে বিও হিসাব রয়েছে প্রায় ২৬ লাখ, যার মধ্যে সোয়া ৭ লাখ বিও অ্যাকাউন্টে কোনো শেয়ার নেই। সাধারণত এসব বিও অ্যাকাউন্টের একটি বড় অংশ শুধুমাত্র আইপিও আবেদনের জন্য ব্যবহৃত হয়।
তবে উল্লেখযোগ্য যে, সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) নতুন নিয়ম করেছে: আইপিও আবেদন করতে হলে অবশ্যই সেকেন্ডারি বাজারে সর্বনিম্ন ২০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। ONLINE BO A/C OPENING SYSTEM
বিনিয়োগকারীদের সুবিধার্থে মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২১) অনলাইনে বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট (বিও হিসাব) খোলার ব্যবস্থা করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বর্তমানে প্রতিটি ব্রোকারেজ হাউস বিও হিসাব খোলার ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন ফি নেয়, যা ৫০০ - ১০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। তবে, অনলাইনে বিও অ্যাকাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে এই ফি হবে সর্বজনীন—মাত্র ৪৫০ টাকা। অর্থাৎ, বিনিয়োগকারীরা মাত্র ৪৫০ টাকায় ঘরে বসেই তাঁদের পছন্দের ব্রোকারেজ হাউস থেকে বিও অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন।
বাৎসরিক একাউন্ট মেইনটেনেন্স ফি কত?
এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, এসইসি-এর গেজেট নোটিফিকেশন অনুযায়ী, ১লা অক্টোবর ২০০৭ সালের জুন তারিখে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিও অ্যাকাউন্টে কাস্টডি ফি-এর বদলে বাৎসরিক অ্যাকাউন্ট মেইনটেনেন্স ফি বাবদ ৫০০.০০ টাকা ধার্য করা হয়েছে।
এই ফি প্রত্যেক বিও অ্যাকাউন্ট ধারীকে অর্থ বছর শুরু হওয়ার আগে অগ্রিম প্রদান করতে হবে। বিও অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে অর্থ বছরের হিসাব ১লা জুলাই থেকে পরের বছরের ৩০শে জুন পর্যন্ত।
বিও অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য সিডিবিএল-এর নির্ধারিত ফি ৩০০ টাকা এবং এর বাৎসরিক মেইনটেন্যান্স ফি ৫০০ টাকা অর্থ বছরের শুরুতেই জমা দিতে হয়। মেইনটেন্যান্স ফি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমা না দিলে বিও অ্যাকাউন্ট বাতিল হয়ে যায়। তবে যাদের বিও অ্যাকাউন্টে টাকা থাকে, তাদের অ্যাকাউন্ট বাতিল না করে স্থগিত রাখা হয়।
পরে ফি জমা দিলে সেটাকে আবার সচল করে দেওয়া হয়। লিমিটেড কোম্পানি (Limited Company), পার্টনারশীপ (Partnership) এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে বিও অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য বোর্ড রেজুলেশন (Board Resolution), সংঘ স্মারক (Union Memorial), পার্টনারশীপ চুক্তিনামা (Partnership Agreement) সহ অতিরিক্ত কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়। এসব কাগজপত্র নির্দিষ্টভাবে পূরণ করতে হয়।
বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়ী ও চলতি হিসাবে আরোপিত ন্যূনতম ব্যালেন্স ফি, ইনসিডেন্টাল চার্জ, লেজার ফি, সার্ভিস চার্জ, কাউন্টার ট্রানজেকশন ফি বা অনুরূপ ফি আদায় করা যাবে না।
শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় ব্রোকারেজ হাউজের কমিশন?
একজন সাধারণ বিনিয়োগকারীর বিনিয়োগের পরিমাণ এবং প্রতিদিন কেনা-বেচা পরিমাণ বাড়লে অনেক সময় তার বিনিয়োগের কমিশন কম পেতে পারে। অনেক ব্রোকার হাউস কন্ট্রাক্ট বা হাওলা চার্জ আলাদাভাবে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে নেয়।
স্টক এক্সচেঞ্জ কমিশন (Stock Exchange Commission), কন্ট্রাক্ট চার্জ (Contract Charge), এবং সিডিবিএল (CDBL) ট্রানজেকশন চার্জ (Transaction Charge) ব্রোকার হাউস বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে আলাদাভাবে নিতে পারে অথবা ব্রোকার কমিশনের (Broker Commission) মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। আপনি যখন ব্রোকার হাউস নির্বাচন করবেন, তখন এসব বিষয়ে আলোচনা করে ভালোভাবে জেনে নেওয়া উচিত। কম হারে ব্রোকারেজ হাউসের কমিশন দেখে নির্ধারণ করলে বিনিয়োগকারীর বিনিয়োগের আসল উদ্দেশ্য পূরণ নাও হতে পারে।
অনেক ব্রোকারেজ হাউস কম কমিশন নেয় কিন্তু বিনিয়োগকারীকে মার্জিন লোনের মাধ্যমে এ হার পুঁজি করে। যা অনেক সাধারণ বিনিয়োগকারী বুঝতে পারেন না। এর থেকে সাবধান হওয়া উচিত। সবসময় মনে রাখবেন, কখনই কমিশন দেখে ব্রোকার হাউজ নির্বাচন করবেন না।
No | Account | Taka |
---|---|---|
1 | BO Open Fee | ৪৫০ টাকা |
2 | Share purchase (শেয়ার ক্রয়) | 0.004 |
3 | Sale of shares (শেয়ার বিক্রয়) | 0.004 |
4 | Minimum account balance (সর্বনিম্ন একাউন্ট ব্যালেন্স) | ০ টাকা |
5 | DSE Mobile Apps (ডিএসই মোবাইল অ্যাপস) | ফ্রী |
6 | IPO share sale commission (আইপিও শেয়ার বিক্রয় কমিশন) | ১% |
7 | IPO application fee (আইপিও আবেদন ফি) | ১০ টাকা |
8 | IPO Membership Club (আইপিও মেম্বারশিপ ক্লাব) | ফ্রী |